Sunday, December 13, 2009

হাসিতে যে তোর ...

আমি বিমোহিত হই
হারিয়ে যাই কোথাও
প্রশান্তির অনুভূতি শুধুই
মাদকতাও আসে কিছুটা
হাসিতে যে তোর মুক্ত ঝরে …

অবাক হয়ে দেখি
তোর উচ্ছ্বলতা
লোভী চোখে তাকিয়ে রই
কান পেতে থাকি
শুনবো তোর হাসির নিক্কন
হাসিতে যে তোর মুক্ত ঝরে …

হাসিমুখে দেবো বিসর্জন
তবুও তোর হাসি যেন থাকে অটুট
হাসবি প্রাণখুলে, সবসময়।
হাসিতে যে তোর মুক্ত ঝরে …

Saturday, November 21, 2009

জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি

সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছে যে তারা নতুন প্রযুক্তির এক ধরনের বার বার রিচার্জ করার উপযোগি ব্যাটারি আবিষ্কার করেছে যার নাম জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি। এধরনের ব্যাটারি প্রচলিত সময়ের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির থেকে তিনগুণ বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে এবং খরচ পড়বে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মাত্র অর্ধেক। রিভোল্ট নামের এই সুইস কোম্পানি প্রথমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কৃত্রিম শ্রবণযন্ত্রে ব্যবহার উপযোগি ছোট ছোট জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি বাজারজাত করবে এরপর তার ক্রমানুসারে মোবাইলফোন অথবা ক্যামেরায় ব্যবহার উপযোগি ব্যাটারি এবং এরপর গাড়িতে ব্যবহার উপযোগি আরো বড় ব্যাটারি বাজারজাত করতে শুরু করবে।

এ ধরনের ব্যাটারির ডিজাইন করেছে ‘সিনটেফ’ নামের একটি নরওয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। রিভোল্ট এই পর্যন্ত ২৪ মিলিয়ন ইউরোর সংস্থান করেছে এই প্রজেক্টের জন্য।গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারির কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে সেগুলো ঠিক করে ফেলা হয়। এখন বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন জিঙ্ক এয়ার ব্যাটারি গাড়িতে ব্যবহার করে যাতায়াত খরচ কমিয়ে আনা যাবে এবং যেসব বিদ্যুত চালিত গাড়ি এ ধরণের ব্যাটারি ব্যবহার করবে সেগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম হবে।

প্রচলিত ব্যাটারিগুলো সাধারণত এর মধ্যের সবগুলো রাসায়নিক উপদাদান ব্যবহার করে থাকে বিদ্যুত উৎপাদন করার জন্য কিন্তু জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি প্রকৃতির অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য। ১৯৮০ সালের দিকে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারিকে সবচাইতে উন্নতমানের, কম খরচের ব্যাটারি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারিগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ নিরাপদ। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতন আগুনের প্রতি একদমই সক্রিয়তা দেখায় না।

[ছবিতে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারির স্তরগুলো দেখা যাচ্ছে]

----------------------

প্রথম প্রকাশঃ আরটিএনএন ডট নেট, ২০০৯।

Monday, September 14, 2009

নতুন আবিষ্কারঃ ঘরে বসেই জানা যাবে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে ?

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিত হতে আর পরীক্ষাগারে যেতে হবেনা। ঘরে বসে ছোট্ট একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ কী। তাও আবার গর্ভধারণের মাত্র ১০ সপ্তাহের মধ্যেই। সম্প্রতি একটি মার্কিন ঔষধ কোম্পানি এ সংক্রান্ত ঔষধ/কিট উদ্ভাবন করেছে। সিএনএন অনলাইনের খবরে প্রকাশ।

অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নিয়ে বাবা-মা তো বটেই, প্রতিবেশীদেরও কৌতুহলের অন্ত থাকেনা। ভূমিষ্ঠ হবার আগেই সবাই জানতে চান- গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সফল পদ্ধতি হচ্ছে আল্টাসনোগ্রাম পরীক্ষা। কিন্তু এই পরীক্ষার জন্য গর্ভবতীকে পরীক্ষাগারে যেতে হয় এবং গর্ভ ধারণের দিন থেকে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পরীক্ষাটি ভালো এবং এর ওপর মানুষের আস্থাও অনেক বেশি। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার জন্য আর ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবেনা। ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ঘরে বসে ছোট্ট একটি পরীক্ষা করে তা জানা যাবে। পদ্ধতিটাও কঠিন নয়। কাগজের টুকরো জাতীয় একটি বস্তুর মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের নিজেরাই পরীক্ষাটি করে নিতে পারবেন। সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের এই কিট উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্ডার নামে একটি কোম্পানি। কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেছেন, গর্ভ ধারণের ১০ সপ্তাহ পর গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করে তাতে উদ্ভাবিত কিটটি ডুবাতে হবে। ১০ মিনিটের মধ্যে সেটির রঙ যদি সবুজ হয় তাহলে ধরে নিতে হবে যে গর্ভের সন্তানটি ছেলে আর রঙ যদি কমলা হয়ে যায় তাহলে সন্তানটি মেয়ে।

ইন্টেলিজেন্ডারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেবেকা গ্রিফিন বলেন, ‘এটি কোনো পরীক্ষাগারের পরীক্ষা নয়। তাই এ পরীক্ষা সবসময় শতভাগ সঠিক হবে তা মনে করা যাবেনা।‘ কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , তাদের পরীক্ষা ৭৮ থেকে ৮০ শতাংশ সঠিক। অনেকেই মনে করছেন, এই পরীক্ষার ফলে ভ্রূণ হত্যা বেড়ে যাবে। কারণ যেসব মা-বাবা ছেলে সন্তান চান, তারা যখন জানবেন অনাগত সন্তানটি ছেলে নয়, তখন তারা ভ্রূণটি হত্যা করার চেষ্টা করবেন। সাধারণত চীন এবং ভারতে ছেলে সন্তানের আগ্রহ অনেক বেশি। এ কারণে দেশ দুটিতে ভ্রূণ হত্যার মাত্রাও বেশি। ইন্টেলিজেন্ডার বলেছে, সে কারণেই তারা ভারত এবং চীনে তাদের উদ্ভাবিত কিট বিক্রি করবেনা।

------------------------------------------

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

Thursday, August 6, 2009

ভাইকিংদের কথকতা - প্রথম পর্ব

কোথা থেকে ভাইকিংরা এসেছিল ?
ভাইকিংরা এসেছিল তিনটি স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ থেকে। সেগুলো হচ্ছে- ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন। ‘ভাইকিং’ শব্দটি এসেছে পুরাতন নরস ভাষা থেকে। ইউরোপের ইতিহাসে ভাইকিংদের খুঁজে পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ থেকে ১১০০ শতাব্দী পর্যন্ত। এই সময়কালের মধ্যে ভাইকিংরা নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায় যেমন ব্রিটেন অথবা আয়ারল্যান্ড। কিছু ভাইকিংদের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল মারামারি এবং লুটতরাজ চালানো। আবার কিছু কিছু ভাইকিং অন্যান্য দেশে পাড়ি জমিয়ে সেখানে কৃষক, বুনন কারিগর অথবা ব্যবসায়ী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতে শুরু করে।

বৃটেনে ভাইকিংদের আগমণ
বৃটেনের দক্ষিণাঞ্চল, যাকে আমরা আধুনিককালে ইংল্যান্ড হিসেবে চিনি; এংলো-স্যাক্সনরা সেখানে প্রথমে বসতি স্থাপন করেছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৭৮৭ শতাব্দীতে তিনটি ভাইকিংদের জাহাজ ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে নোঙ্গর করে। এসব জাহাজকে ‘লংশিপ’ বলা হতো। এরপর ভাইকিংদের সাথে যুদ্ধ হয় এংলো-স্যাক্সনদের। পরবর্তীকালে ভাইকিংদের সাথে এংলো-স্যাক্সনদের অসংখ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এটা শুধু সূত্রপাত ছিল। ভাইকিং হামলাকারীদের ইংরেজরা ‘ডেনস’ বলে ডাকত। তারা ভেবেছিল সব ভাইকিংরাই ডেনমার্ক থেকে আগত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভাইকিংরা শুধু ডেনমার্ক থেকেই আসেনি, নরওয়ে এবং সুইডেন থেকেও এসেছিল। নরওয়ে থেকে আগত ভাইকিংদের বলা হতো ‘নরস’; তারা গিয়ে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমায় এবং সেদেশের উত্তরাংশে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। ভাইকিংরা ওয়েলসেও হামলা চালিয়েছিল কিন্তু তেমন বেশি সংখ্যক ভাইকিংরা সেখানে বসতি স্থাপন করেনি। বৃটেনে প্রচুর উর্বর ভূমিখণ্ড ছিল কৃষিকাজ করার জন্য। এসব ভূমিখণ্ড ভাইকিংদের আগ্রহী করে তোলে বৃটেনে পাকাপাকিভাবে পরিবার নিয়ে থেকে যাবার জন্য। ডেনমার্ক, নরওয়েতে কৃষিকাজের উপযোগি জমি তেমন ছিলনা সেকালে। থেকে যাওয়া ভাইকিংরা জমির উর্বরতা ব্যবহার করে কৃষিকাজ শুরু করে এসব জমিতে। স্কটল্যান্ডের উত্তরাংশে এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে ভাইকিংদের আধিপত্য দেখা যায়। আয়ারল্যান্ডের অতি গুরুত্বপূর্ণ শহর ‘ডাবলিন’ ভাইকিংরাই প্রতিষ্ঠা করে।

ভাইকিংদের পারিবারিক জীবন
বেশিরভাগ ভাইকিং পুরুষেরা অত্যন্ত কর্মঠ ছিলেন। যেকোন ধরনের কাজে তাদের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। কিছু ভাইকিংরা অন্যদের চাইতে মাটির পাত্র তৈরির কাজে, নৌকা বানানোর কাজে অথবা চামড়ার কাজে বেশি পারদর্শী ছিল। প্রয়োজনের সময় প্রায় সব ভাইকিং পুরুষদেরকেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হতো। ভাইকিং নারীরা রুটি বানানোর কাজে দক্ষ ছিলেন। এছাড়াও তারা ভেড়ার লোম থেকে পোষাক বানানোর কায়দা-কানুন জানতেন। বাসার বাচ্চাদের দেখাশুনা করতেন নারীরাই। ঘরের যাবতীয় রান্নার কাজ এবং পোষাক বানাবার কাজ নারীরাই সম্পাদন করতেন। বেশিরভাব পরিবারে দিনে দুইবেলা খাবার প্রচলন ছিল। নারীরা পুরুষদের মাঝেসাঝে কৃষিকাজেও সাহায্য করে থাকতেন। গরুর দুধ দোয়ানোর কাজ মেয়েদের করতে হতো এবং সেগুলো থেকে পনির বানানোর কাজটাও।

ভাইকিং পরিবারে কোনও ছেলে শিশুর জন্ম হলে তার শেষনামে বাবার নাম জুড়ে দেওয়া হতো। আর মেয়ে শিশুর জন্ম হলে কখনো কখনো হুবহু মায়ের নাম অথবা দাদীর নাম রেখে দেওয়া হতো। ভাইকিং শিশুদের স্কুলে যাবার প্রথা ছিলনা। তারা সাধারণত বাসায় অথবা কর্মক্ষেত্রে তাদের পিতা-মাতাকে সাহায্য করতো। বাসাতেই ভাইকিং শিশুদের ভাইকিংদের ইতিহাস, ধর্ম, আইন এবং ভাইকিংদের নিয়ম-কানুন ইত্যাদি মুখে মুখে শিক্ষা দেওয়া হতো। ভাইকিং শিশুদের ১৫/১৬ বছর হয়ে গেলে তাদেরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হতো। আর মেয়েদের জন্য তাদের বাবা স্বামী নির্ধারণ করতো।

(চলবে)

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

---------------------------------------------
প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯ ।

Tuesday, July 7, 2009

পৃথিবীজোড়া অদ্ভুত কিছু আইন !

দেশে দেশে বিভিন্ন ধরণের আইনের প্রচলন আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু বেশ মজার। ঐসব দেশের অধিবাসীর হয়তো এসব আইনের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছেন নিজেদেরকে কিন্তু সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু নিয়ে ভাবলে আমাদের বেশ অবাক হতে হয় বৈকি ! এমন কিছু আইন নিয়েই আজকের লেখা …

১| রাশিয়াতে পিটার দ্য গ্রেটের শাসনকালে কেউ যদি দাঁড়ি রাখতে চাইতো তাকে আলাদাভাবে কর প্রদান করতে হতো দাঁড়ির উপর।
২| যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনও বিয়ারের বিজ্ঞাপনে বিয়ার পানরত অবস্থায় কোনও মানুষকে দেখানো যায়না।
৩| আলাস্কার আইন অনুসারে কোনও উড়োজাহাজ থেকে মুজের(এক ধরনের বড় হরিণ) দিকে তাকানো বেআইনী।
৪| ক্যালিফোর্নিয়ান আইন অনুসারে কোনও মহিলা বাথরোব পড়ে গাড়ি চালাতে পারবেনা।
৫| ইংল্যান্ডের আইন অনুসারে কৃষকেরা তাদের খামারের শূকরদেরকে খেলনা দিতে বাধ্য থাকবে।
৬| ১৯৬৯ সালে মাসাচুসেটসে ক্রিসমাস পালন করা বেআইনি ছিল।
৭| প্রাচীন ইংল্যান্ডে কোনও নারীর সাথে সঙ্গম করতে চাইলে রাজার অনুমতি নেবার দরকার পড়ত।
৮| এথেন্সের পুলিশ কোনও গাড়ির চালকের লাইসেন্স বাতিল করে দেবার ক্ষমতা রাখে যদি ঐ চালক গোসল না করে গাড়ি চালায় অথবা চালকের বেশভূষা না ঠিক থাকে।
৯| বাংলাদেশে ১৫ বছরের শিশুকেও জেলে ভরে দেবার আইন আছে যদি সে পরীক্ষার খাতায় নকল করে।
১০| ফ্লোরিডায় ঘোড়া চুরি করার শাস্তি হচ্ছে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড।
১১| ফ্রান্সে কোনও মৃত ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলে সেক্ষেত্রে আইনগতভাবে কোনও বাঁধা নেই।
১২| মায়ামিতে কোনো পশুর অনুকরণ করা আইনগত ভাবে নিষেধ
১৩| সান সালভেদরে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর শাস্তি হচ্ছে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড।
১৪| জ্যাক ড্যানিয়েল হুইস্কি যে শহরে উৎপাদন করা হয় সেখানে এই হুইস্কি সেবন এবং বেচাকেনা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।
১৫| সাংহাই, চায়নাতে লাল রঙের গাড়ি কেনা এবং মালিকানায় রাখা আইনবিরুদ্ধ।
১৬| মস্কোতে আবহাওয়াবিদরা ভুল তথ্য প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে।
১৭| ইন্দোনেশিয়াতে হস্তমৈথুনের শাস্তি হচ্ছে ধর থেকে মাথা কেটে ফেলে মৃত্যুদণ্ড।
১৮| আইসল্যান্ডে রেস্তোরায় গিয়ে বকশিস দেওয়াটাকে অসম্মানজনক মনে করা হয়।
১৯| ১৯৬০ সাল পর্যন্ত কোনও লম্বা চুলের অধিকারী পুরুষের ডিজনিল্যান্ডের ভেতরে ঢোকার অনুমতি ছিলনা।
২০| নিউজিল্যান্ডে সর্বপ্রথম মহিলাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

---------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Thursday, July 2, 2009

কম্প্যুটার বিষয়ক কিছু মজার তথ্য !

অন্তর্জালে ঘুরতে ঘুরতে কিছু খুবই মজার তথ্য চোখে পড়ল কম্পিউটার বিষয়ক। প্রত্যেকটি তথ্যই সত্য। সেগুলো নিয়েই আজকের এই লেখা-

১| মাইক্রোসফ্‌ট উইন্ডোজ টিউটোরিয়ালের আরেকটি নাম হল "ক্র্যাশ কোর্স" ।

২| বিল গেটসের বাসার ডিজাইন করা হয়েছিল একটি মেকিনটোশ কম্পিউটার দিয়ে।

৩| ধারণা করা হচ্ছে ২০১২ সাল নাগাদ ১৭ বিলিয়ন ডিভাইস ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে।

৪| অন্তর্জালে প্রতিমাসে এক মিলিয়নেরও বেশি ডোমেইন রেজিস্টার করা হয়ে থাকে।

৫| ই-মেইলের প্রচলন হয়েছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবেরও(WWW) আগে।

৬| আশির দশকে কোনও আইবিএম নির্মিত কম্পিউটারকে একশতভাগ কম্পাটিবল ধরা হতোনা যদি না সে কম্পিউটারে মাইক্রোসফ্‌ট ফ্লাইট সিমুলেটর চালানো যেত।

৭| মাই স্পেস ওয়েবসাইটের হিসাবমতে তাদের ১১০ মিলিয়ন নিবন্ধনকৃত ব্যবহারকারী রয়েছে। এটাকে একটি দেশ হিসেবে ধরা গেলে জনসংখ্যার দিক দিয়ে দশম বৃহত্তম রাষ্ট্র হত, মেক্সিকোর পরেই।

৮| গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি আট জোড়া বিবাহিত জুটির মধ্যে এক জোড়ার পরিচয় হয়েছে অন্তর্জালে।

৯| কম্পিউটারের সাথে ব্যবহার করার জন্য মাউস প্রথমে আবিষ্কার করেন ডাগ এনগেলবার্ট নামের একজন ভদ্রলোক ১৯৬৪ সালে এবং সেটি বানানো হয়েছিল কাঠ ব্যবহার করে।

১০| গড় কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা মিনিটে সাতবার চোখের পাতা ফেলেন মাত্র যা গড় স্বাভাবিক মানুষের মিনিটে চোখের পাতা ফেলার সংখ্যার (বিশ বার) চেয়ে অনেক কম।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

----------------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Friday, June 5, 2009

নামহীন হাবিজাবি- ৫

(১)
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা
মন বসেনা ঘরের কোনে,
ইচ্ছে করে ভাসাই ভেলা
নদীর জলে গহীন বনে।

(২)
প্রকৃতির নির্মম রূক্ষতাকে
উপেক্ষা করে ভেসে যেতে চাই;
অজানা কোনোও দুর্গমতাকে
আপন করে বন্ধু হতে চাই।

(৩)
ছেলেবেলার মধুর সময়
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুরা
স্বপ্নে আসে, স্মৃতি জাগায়
কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়।

--------------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Saturday, April 25, 2009

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয় নারীদের ভূমিকা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয় নারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করে। সেসময়ে নারীদের সাপ্তাহিক বেতন পুরুষদের চেয়ে অনেক কম ছিল; এটাকে নারীকর্মীদের সংখ্যা বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমে যাবার একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসময়ে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয় নারীরা গৃহকর্ত্রী হিসেবেই কর্মরত ছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে সংগ্রহকৃত পাঁচ লক্ষেরও বেশি তরুণদের বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। এসব খালি পদ যেখানে নারীকর্মীদের দিয়ে পূরণ করা সম্ভব ছিল, সেটি না করে অস্ট্রেলিয় সরকার নির্বিকার দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর থেকে বাড়ির বাইরে কাজ করতে আগ্রহী নারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯১৪ সালে যেখানে মোট জাতীয় কর্মশক্তির মাত্র শতকরা ২৪ ভাগ ছিল নারী সেখানে ১৯১৮ সালে এসে কর্মশক্তিতে নারীদের ভূমিকে বেড়ে দাঁড়ায় শতকরা ৩৭ ভাগ। তবে সংখ্যায় আগের চেয়ে বেশি নারীরা অংশগ্রহণ করলেও তাদের বাঁধা কিছু কাজের গণ্ডি থেকে কিন্তু তারা বেড়িয়ে আসতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে মেয়েরা শুধুমাত্র পোষাকশিল্প, পাদুকাশিল্প, খাবার এবং মুদ্রণশিল্পের সাথেই কর্মরত ছিল। কর্মীদের ইউনিয়নগুলো এসময় নারীদের কে আরো বিপুল পরিমাণে এবং অন্যান্য শিল্পে যোগদান করতে বাঁধা প্রদান করছিল। তাদের ভয় ছিল যে আরো অধিক পরিমাণে নারীরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগদান করলে বেতনভাতা কমে যাবে তুলনামূলক হারে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক নারীরা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের কাছে। যেসব পদের জন্য তারা আবেদন জানিয়েছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- রাঁধুনি, স্ট্রেচার বহনকারী, গাড়ির চালক, অনুবাদক ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তৎকালীন অস্ট্রেলিয় সরকার নারীদের এসব আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেয়। তবে নারীদের বিভিন্ন সংগঠন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এসব সংগঠনের মধ্যে ছিল- অস্ট্রেলিয়ান ওমেন'স ন্যাশনাল লীগ, দ্যা অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস, দ্যা কান্ট্রি ওমেন'স এসোসিয়েশন, দ্যা ভলান্টারি এইড ডিটাচমেন্ট, দ্যা অস্ট্রেলিয়ায়ন ওমেন'স সার্ভিস কর্পোরেশন, এবং দ্যা ওমেন'স পিস আর্মি এবং ওমেন'স ক্রিশ্চিয়ান টেম্পেরেন্স ইউনিয়ন। কিছু কিছু নারীরা এসময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করা, অস্ট্রেলিয়ান আর্মিতে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সতর্ক করা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের কাজ করতো।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

-------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Monday, April 20, 2009

নামহীন হাবিজাবি- ৪

আমার ঘরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপারটা মনেহয় ঘরের একমাত্র জানালাটি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সম্ভবত আকাশ। সাথে আরো গাছ-গাছালি, লতাপাতা, পেছনের উঠোনের ফুল ইত্যাদি ইত্যাদি। কয়েক ঘন্টা আগেও বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে। আকাশের অবস্থা দেখে কিছুটা বিরক্তই লাগছিল। এখানে আবার বৃষ্টি হলেই ঠান্ডা পরে তাই বিরক্তিটা একদম মাথায় রক্ত চড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থেমে আকাশ একদম পরিষ্কার হয়ে গেল। সাদা তুলোর মতন মেঘের দিকে তাকিয়ে বেশ ভাল লাগছিল। সন্ধ্যে হবার ঠিক আগে মনে হচ্ছিল যেন সাদা ক্যানভাসের মধ্যে কেউ হালকা লাল রঙ চড়িয়ে দিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে এখানে সেখানে।

অলস দিন কাটাচ্ছি আজকে। কত কিছু করার আছে কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছিনা। গতকাল আমার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। ওকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। হয়তোবা কষ্টই পেয়েছে সে; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জানানো উচিত ছিল। নিজের উপর বিরক্ত লাগছে ব্যাপারটা চিন্তা করলে। গতকাল ওকে শুভেচ্ছা জানালেই পারতাম। এমন নয় যে ভুলেই গিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও মনে ছিল। যদিও সারাদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম কাজে তবুও শত ব্যস্ততার এক ফাঁকে হয়তো শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম।মাঝেমধ্যে এমনসব আজব কাজ করে বসি পরে নিজেই বুঝতে পারিনা কেন করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই। তবে শুভেচ্ছা জানাই আর নাইবা জানাই ওর জন্য সবসময় শুভকামনা তো অবশ্যই কামনা করি। যা কখনো পরিবর্তন হবার নয়।

আবহাওয়ার কথা বলছিলাম। শীতকালটা আমার কখনোই তেমন ভাল লাগেনা। আমি আবার কিছুটা শীতকাতুরে মানুষ। ঠান্ডা সহ্য করতে পারিনা। সামান্য শীতেও অনেক ঠান্ডা লাগে। বিস্তর জামাকাপড় পরে বাইরে বের হতে হয়। নানান ঝামেলা। শীতকাল ছাড়া বর্ষাকালেও আমার ঘোর আপত্তি। দিনভর বৃষ্টির অত্যাচার দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাই। বাকি ঋতুগুলো নিয়ে আমার সমস্যা নাই। বাকি সব ঋতুই আমার পছন্দের।

Monday, March 30, 2009

নাক ডাকা যখন সমস্যা !

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা কি আপনার বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে ? এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচ জোড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তঃত একজোড়া দম্পতি নাক ডাকার সমস্যার কারণে রাত্রে বেলায় আলাদাভাবে ঘুমায়; শুধুমাত্র শান্তিতে ঘুমিয়ে রাতটা কাটানোর জন্য।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এক জরিপ চালানো হয় ১০০০ জন বিবাহিত নারী এবং পুরুষের উপর। এর ফলাফলে দেখা যায় শোবার ঘরে স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পেছনে কতগুলো অতি পরিচিত কারণ রয়েছে-

>> ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা
>> বালিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি
>> ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করা অথবা কথা বলা
>> ঘুমের মধ্যে হাত অথবা পা এদিক সেদিক ছোড়াছুড়ি করা (জরিপে দেখা যায় দশ শতাংশ পুরুষ/নারীর ঘুমের মধ্যে ব্যথা পাবার অভিজ্ঞতা আছে সঙ্গী/সঙ্গিনীর ঘুমের মধ্যে হাত/পা ছোড়াছুড়ি করার কারণে)

জরিপে আরো দেখা যায় উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে শতকরা সাত জন পুরুষ/নারী বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে সঙ্গি/সঙ্গিনীর সাথে রাতে ঘুমানোর সমস্যার কারণে। নাক ডাকা থেকে সৃষ্ট শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক সমস্যাগুলোকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। সেগুলো হচ্ছে- ঘুমিয়ে ওঠার পরেও ক্লান্তিবোধ করা, বদমেজাজি স্বভাব, কম কথা বলার প্রবণতা এবং সঙ্গি/সঙ্গিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের অবনতি। আলাদাভাবে ঘুমানোর কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্বটা বেড়ে যায় এবং অন্যান্য পারিবারিক সম্পর্কের অবনতিও পরিলক্ষিত হয়।

যেসব কারণে আমরা নাক ডাকি-
১| জন্মগত কারণে- জন্মগতভাবে কারো কারো গলার ভেতরের অংশ অন্যদের চেয়ে কিছুটা সরু থাকতে পারে যা নাক ডাকার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়াও টনসিলের আকার বড় থাকা এবং অন্যান্য শারীরিক জন্মগত সমস্যার কারণে কেউ নাক ডাকতে পারে ঘুমের মধ্যে।
২| বয়স- বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের গলা সরু হতে শুরু করে। মাঝ বয়েসে পৌঁছবার পর থেকেই অনেকের মধ্যে নাক ডাকার উপসর্গ দেখা দেয়।
৩| পুরুষ হবার কারণে- পুরুষদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বেশি দেখা যায় নারীদের তুলনায়। এর কারণ কি কারো জানা আছে ? কারণটা হচ্ছে পুরুষদের গলার প্রস্থ মেয়েদের তুলনায় কম থাকে যার কারণে নাক ডাকার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
৪| এলার্জি, এজমা, ঠান্ডা লাগা, সাইনাসের সমস্যা- ঠান্ডা লাগা অথবা অন্যান্য কারণে নাক বন্ধ থাকার অভিজ্ঞতার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। যখন নাক বন্ধ থাকে তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের যে সমস্যা হয় সেটার ব্যাপারেও নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই ঠান্ডা লাগলে অথবা উপরোক্ত কারণে কাউকে কাউকে নাক ডাকতে দেখা যেতে পারে ঘুমের মধ্যে।

নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়-
# শরীরের ওজন কমানো অনেক সময় নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে। যাদের ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস রয়েছে অল্প থেকে মাঝামাঝি পর্যায়ের এবং যদি তাদের শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে থাকে তবে ডাক্তারেরা সর্বপ্রথম এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেন। শারীরিক ওজন বাড়ার সাথে সাথে আমাদের গলার পেছনের দিকের অংশে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে শুরু করে এবং এতে গলার ভেতরের প্রস্থ কমে যায়। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো সম্ভব হলে এসব অতিরিক্ত চর্বি থেকে রেহাই পাওযা যাবে এবং সেই সাথে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাও বন্ধ হবে।
# মদ্যপান, কতিপয় ঔষধপত্র এবং কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলা গেলে নাক ডাকা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এলকোহল এবং কিছু কিছু ঔষধ আমাদের গলার এবং জিহ্বার মাংসপেশীগুলোকে শিথিল করে দেয় যার কারণে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একই ভাবে ঘুমের বড়ি অথবা ট্র্যাঙ্কুলাইজার গোত্রের ঔষধগুলো ঘুমের জন্য সহায়ক হলেও এগুলো ব্যবহারের কারণেও নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এসব এড়িয়ে চলাই ভাল। উচ্চ চর্বিযুক্ত দুধের তৈরি খাবার অথবা সয়া দুধে তৈরি খাবার গলার ভেতরে মিউকাস তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে যার কারণে এসব খাদ্যদ্রব্যও নাক ডাকার পেছনে ভূমিকা রাকতেই পারে।
# ধূমপানের কারণে সৃষ্ট নানান প্রকারের জটিলতার সাথে আমাদের মোটামুটি পরিচিতি আছে। প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মাংসপেশীগুলো ঢিলে হয়ে পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি করে। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবেও কাজ করে। তাই ধূমপান বন্ধ করা হতে পারে নাক ডাকা থেকে রেহাই পাবার একটি বড় উদ্যোগ।
# চিত হয়ে না ঘুমিয়ে পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। জরিপে দেখা গেছে যে যাদের চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে তাদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা অনেক কম। তাই ডাক্তারেরা বলে থাকেন পুরোপুরি নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে পাশ ফিরে শোবার অভ্যাস করুন।
# উপরোক্ত প্রতিকার গুলো চেষ্টা করার পরেও কারো কারো ক্ষেত্রে নাক ডাকার সমস্যা সমাধান নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

Sunday, March 15, 2009

অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের ইতিহাস

অনেকেই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কথা শুনে থাকবেন। পাথরযুগীয় সভ্যতার জন্য পৃথিবীজোড়া যাদের পরিচিতি আছে। নৃতত্ববিদ্যায় অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা তাই একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই আদিবাসীরা নিজেদেরকে “কুরি” বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। এরা স্বাস্থ্যবান এবং বাদামী-কালো চামড়ার অধিকারী। গড় উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির মতন (এক দশমিক ছয় আট মিটার) হয়ে থাকে। এদের চোখের রঙ সাধারণত গাঢ় বাদামি, চুলের রঙও তাই; তবে অনেকের চুলের রঙ লালচে অথবা সাদাটে-লালচে হতেও পারে। এদের ভ্রুজোড়া মোটা, চোয়াল বড় আর চুলগুলো কোকড়া হয়ে থাকে।

নৃবিজ্ঞানীদের মতে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের জাতিগতভাবে আলাদা করা বেশ দুষ্কর। কিছু নৃবিজ্ঞানীরা এদেরকে ‘অস্ট্রালয়েড জাতি’ বলে থাকেন। এদের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের সাথে এশিয়ান এবং পলিনেশিয়ানদের মিল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় যে পঞ্চাশ হাজার বছর আগে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসে এসব আদিবাসীরা বসতি স্থাপন করে।

ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা শিকারী। তাদের প্রয়োজনীয় খাবার তারা শিকারের মাধ্যমে সংগ্রহ করতো নতুবা অন্য কোনও উৎস থেকে আহরণ করতো। চাষাবাদে এদের কোনই অভিজ্ঞতা ছিলনা। পশু শিকারের কাজে এরা নানারকম অস্ত্র ব্যবহার করত যাদের মধ্যে বর্শা এবং বুমেরাং-এর নাম উল্লেখযোগ্য। গৃহপালিত পশু হিসেবে এদেরকে শুধুমাত্র ‘ডিংগো’ পালন করতে দেখা যায়। ‘ডিংগো’ হচ্ছে বিশেষ প্রজাতির কুকুর যা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের মধ্যে প্রায় পাঁচশত বিভিন্ন উপজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের প্রত্যেকের ভাষায় ভিন্নতা আছে। এসব আদিবাসীরা শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের অলংকার পরিধান করে থাকত। তবে এসব অলংকার তৈরিতে তারা কোন ধরনের ধাতু ব্যবহার করতো সেই উত্তর আজো মেলেনি নৃবিজ্ঞানীদের কাছে। কিছু কিছু উপজাতি শীত নিবারনের জন্য ক্যাঙ্গারুর চামড়া ব্যবহার করত। অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের বিবাহপ্রথা, সামাজিকপ্রথা, ধর্মানুভূতি এবং ধর্মীয় আচার-আচরণ -এগুলো বেশ উন্নতমানের ছিল।

১৭৮৮ সালে ইউরোপিয়ানরা এসে অস্ট্রেলিয়ায় বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। সে সময় থেকে শুরু করে ১৯০০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের সংখ্যা ৫০০,০০০ থেকে আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়ে মাত্র ৫০,০০০ -এ এসে দাঁড়ায়। যার পেছনে প্রধানভাবে দায়ী করা হয় ইউরোপ থেকে নিয়ে আসা নানান অসুখ-বিসুখকে। এসব অসুখ প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থাই আদিবাসীদের কাছে ছিলনা। এছাড়াও ইউরোপিয়ানরা অনেক আদিবাসীদের হত্যা করে যেটিকে এদের সংখ্যা কমে যাবার আরেকটি কারণ হিসেবে দায়ী করা যায়। এখনো অনেক আদিবাসী তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ আদিবাসীরাই শহুরে এলাকায় এসে বসত গড়েছে, অথবা কৃষিকাজে মনোযোগী হয়েছে।

অনেক বছর ধরে অস্ট্রেলিয় সরকার আদিবাসীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৯৩০ সালে আদিবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে সকল পর্যায়ে তাদের সমঅধিকারের দাবিতে। প্রায় দশ বছর পর আদিবাসীরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সমঅধিকার অর্জন করতে সমর্থ হয়। ১৯৬৭ সালে আদিবাসীরা তাদের ভোটাধিকার অর্জন করে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কোনও নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার ছিলনা। অস্ট্রেলিয়ার অনেক এলাকায় ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে আজো আদিবাসীরা সরকারের কাছে তাদের পৈত্রিক জায়গাজমি ফিরিয়ে দেবার আবেদন করে আসছে। কিছু কিছু জায়গাজমি তাদেরকে ফেরত দেওয়া হলেও অধিকাংশ জমিই সরকারের দখলে রয়ে গেছে। যেগুলোর মালিক চার লক্ষ দশ হাজারের মতন অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

---------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Friday, March 6, 2009

৫০০০ বছর আগের ওৎজি যোদ্ধা

পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি পুরানো এক ওৎজি যোদ্ধার ছবি দেখাবো আজ আপনাদের। সম্প্রতি এই যোদ্ধার ছবি প্রথমবারের মতন অন্তর্জালে প্রকাশ করা হয়। ৫৩০০ বছর ধরে এই অতি প্রাচীন যোদ্ধা আলপাইন পর্বতের হিমবাহে আটকা পড়েছিল। পাথর যুগের এই যোদ্ধাকে ১৯৯১ সালে ইটালিয় এক পর্বতারোহীদল আবিষ্কার করে ওৎজ উপত্যকা থেকে যা ইটালি এবং অস্ট্রিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত। এতদিন পর্যন্ত এই প্রাচীন যোদ্ধার দেখার একমাত্র উপায় ছিল ইটালির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত টাইরল জাদুঘরে গিয়ে দেখে আসা। অন্তর্জালে প্রকাশ করার পর অনেকেই দূর থেকে দেখার সাধ মেটাতে পারবেন।









৫৩০০ বছরের পুরোনো ওৎজি যোদ্ধা









আবিষ্কৃত হয় ১৯৯১ সালে









ওৎজি যোদ্ধার পা, ধারণা করা হয় তার উপর অতর্কিতে আক্রমণের ফলে মৃত্যু ঘটে









যোদ্ধার মাথার পেছনে তীর লেগে মৃত্যু হয় , ছবিতে মাথার পেছনের অংশ দেখা যাচ্ছে









মাথার পার্শ্বচিত্র, যেখানে দেখতে পারবেন যোদ্ধার কান এখনো অনেক ভাল অবস্থায় আছে









পেলভিস এবং হাড় দেখে মনে হচ্ছে কাঠের তৈরি যেন









ওৎজি যোদ্ধার বাম হাত দেখতে পাচ্ছেন


ছবি এবং তথ্যসূত্রঃ নাইনএমেসেন ডট কম ডট এইউ

-------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Sunday, March 1, 2009

দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর খাবার

সারাদিন কাজ আর কাজ, উদয়াস্ত খাটুনি, হাতে সময় নেই, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অগ্রাধিকার পায় না। কোনও কোন দিন অনেক বেলা ভরপেট খাওয়া হয় না, চটজলদি হালকা নাস্তা হয়। তবে নাস্তাটি স্বাভাবিক হলেই হলো। দু’বেলা আহারের মধ্যে যদি ক্ষুধা লাগে, তাহলে শরীরে পুষ্টি চাই, বোঝা গেলো। তাই ক্ষুধা মেটাতে কিছু একটা মুখে দিতে হয়। উল্টোপাল্টা নাস্তা খেলে কিন্তু সমস্যা। নাস্তায় যদি বেশি চর্বি ও শর্করা থাকে তাহলে রক্তে পরবর্তীতে কোলেস্টেরল বাড়ে, ওজন বাড়ে শরীরে, পরবর্তীতে হতে পারে নানা জটিলতা যেমন হৃদরোগ, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া রক্তে এবং ডায়েবেটিস। সুসংবাদ হলো এই যে আজকাল স্বাস্থ্যকর খাবার সম্বন্ধে সচেতন হচ্ছে মানুষ সেজন্য অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লোফ্যাট লোশর্করা খাবার তৈরি করছে যা স্বাদে কোনও ভিন্নতা নেই প্রকৃত খাবারের সাথে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকা যখন প্রস্তুত করবেন তখন কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

খাবেন প্রচুর ফল ও শাক-সব্জি…
এতে ক্যালেরি ও চর্বি কমে। এছাড়া এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট।
সম্পৃক্ত চর্বির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ যত কম সম্ভব, সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এরকম চর্বি বেশি খেলে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরোল। তেলে ঘিয়ে ভাজা খাবার, প্রাণীজ চর্বিতে রয়েছে সম্পৃক্ত চর্বি। সে বিবেচনায় কচি মোরগ, মাছ এগুলো লাল গোস্ত(যেমন-গরু/ছাগলের মাংস) থেকে অনেক ভাল।

যে খাদ্য রান্না হচ্ছে সেদিকেও নজর রাখুন…
আংশিক হাইড্রোজিনেটেড উদ্ভিজ তৈল, যা মার্জারিন ও শর্টেনিং-এ ব্যবহৃত হয়, এতে এক ধরনের চর্বি থাকে একে বলে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড। এগুলো খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ এতে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরল। ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কুকিস, চিপস ও ক্যান্ডিতেও এসব চর্বি পাওয়া যায়।
খাবারে যেসব তরল সস্ ছড়ানো হয়, সেগুলো কেমন হবে…
স্যালাড ড্রেসিং সস বা যেসব তরলে খাবার ডুবিয়ে খাওয়া হয়, সেগুলোতে যেন চর্বি থাকে খুব কম। সেই সস খাবারের উপর না ঢেলে পাশে রাখা ভালো। এতেও এসব কম খাওয়া হবে। দুদ্ধজাত প্রিয় খাদ্যের মধ্যে যেগুলোতে চর্বি কম সেগুলো খাওয়া ভাল। এতে চর্বি কম খাওয়া হবে। যেমন ফুলক্রিম দুধ বা দইয়ের বদলে লোফ্যাট দই বা ক্রিম ছাড়া দুধ ভাল।

শ্বেতসার হলো শক্তির গুরুত্বপূর্ণ এবং দ্রুত উৎস…

এগুলো শরীরে শর্করায় পরিণত হয়, তাই বেশি বেশি শ্বেতসার খেলে দেহে ওজন বাড়ে এবং রক্তে বাড়ে শর্করা, বিশেষ করে ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই। এছাড়া আগের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে খুব বেশি শ্বেতসার খেলে হিতকরী কোলেস্টেরল এইচডিএল রক্তে হ্রাস পায়। গোটা শস্য যেমন গমের রুটি, জইচূর্ণ -এতে ময়দা কম, আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ কম। বাদাম, বীজ এসবও ভালো নাস্তা তবে এতে যেন লবন যেন না থাকে। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। বাদাম, আখরোট এতে রয়েছে ওমেগা-৩ উপাদান, যা ক্ষতিকর এলডিএল কমাতে পারে আবার হিতকরী এইচডিএল বাড়াতে পারে। লাউয়ের বীচি এবং সূর্যমুখীর বীজ এগুলোতে আছে ভিটামিন ই, বি ভিটামিন ও খনিজ। নিবন্ধটি পড়ে মনে হবে যে খাবারে এত বিকল্প আছে, তত বৈচিত্র্য রয়েছে খাবারের মধ্যে এগুলো চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কি? কেন খাবো ফাস্টফুড, তেলেভাজা খাবার ? নোংরা ইটালিয়ান রেস্তোরাঁর পাশে নর্দমার উপর বসে কেন এসব ঝালমুড়ি, ফুচকা, তেলেভাজা মোগলাই খাওয়া? কেবলমাত্র হৃদপিন্ডের মতন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কেন, দেহের পুরোটাই সুস্থ রাখা তো উচিত।

Tuesday, January 27, 2009

হুক্কা টানা কি সিগারেটের চেয়ে নিরাপদ ?

আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে হুক্কা টেনে ধূমপান করা সিগারেটের থেকে নিরাপদ; কারণ হুক্কার কার্যপ্রণালীতে যে পানির ব্যবহার করা হয় তা নাকি তামাকের বিষাক্ততা কমিয়ে দেয়। কিন্তু আসল ব্যপারটি মোটেই তা নয়। হুক্কায় ব্যবহৃত তামাক কখনোই কম বিষাক্ত নয়। প্রকৃতপক্ষে হুক্কা ব্যবহারকারীরা সিগারেট ব্যবহারকারীদের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিমাণে ধোঁয়া টেনে নিচ্ছেন ফুসফুসে।

হুক্কা - যা নারঘিলে, শিশা এবং গজা নামেও কোন কোনও দেশে পরিচিত – প্রকৃতপক্ষে একটি পানির নল। কয়েকশত বছর ধরে মধ্যেপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হুক্কা ব্যবহৃত হয়ে আসছে ধূমপানের কাজে। সাম্প্রতিককালে কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে হুক্কার জনপ্রিয়তা বাড়ছে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে। হুক্কাপ্রীতির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক এলাকায় হুক্কা ক্যাফে গড়ে উঠছে।

একটি হুক্কার সাজসজ্জাকে নিম্নোক্ত কয়েকটি অংশে বিভক্ত করা যেতে পারেঃ-
## একটি ভিত্তি যার কিছু অংশ পানি দ্বারা পূর্ণ থাকে
## একটি বাটি যার মধ্যে তামাক থাকে তাপ প্রয়োগের ব্যবস্থাসহ
## একটি নল যা বাটি ও ভিত্তির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, এই নলটি ভিত্তির ভেতরের পানির মধ্যে ডোবানো অবস্থায় থাকে।
## দ্বিতীয় আরেকটি নল প্রথম নলের মধ্যে বসানো থাকে যা পানির মধ্যে ডোবানো অবস্থায় থাকেনা, এই নলটি হুক্কার ধোঁয়া ভেতরে টেনে নেবার কাজ করে থাকে।

অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা কাজ করে যে হুক্কার মধ্যে ব্যবহৃত পানি তামাকের সকল বিষাক্ত উপাদানকে ছেঁকে ফেলে, যা সত্যি নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে একঘন্টা ধরে কোনও হুক্কা ব্যবহারকারী যে পরিমাণ ধোঁয়া টেনে নিচ্ছেন ভেতরে তা একজন সিগারেট ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত একটিমাত্র সিগারেট থেকে ১০০ থেকে ২০০ গুণ বেশি পরিমাণে ক্ষেত্রবিশেষে। হুক্কায় ব্যবহৃত তামাকের ধোঁয়া পানির মধ্যে দিয়ে চালনা করার পরেও এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণে বিষাক্ত উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকে। যাদের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড, কিছু ভারী লৌহ উপাদান এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আর অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে নিকোটিন থাকে ধোঁয়াতে যা ব্যবহারকারীর নেশার উদ্রেকের জন্য দায়ী।

হুক্কা সেবনের এই নতুন প্রচলনকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মারাত্মক ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। হুক্কা ব্যবহারকারীদের মধ্যে যে ভুল ধারণা আছে তার অবসান ঘটাতে হবে। কারণ হুক্কার ব্যবহার সিগারেট ব্যবহারের মতই ক্ষতিকারক এবং ক্ষেত্রবিশেষে সিগারেটের চেয়েও অনেক বেশি মাত্রায় জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম।

Friday, January 2, 2009

কৃত্রিমতার বাস্তবিকতা

সততাকে যখন তোমরা
পদদলিত কর, দুমড়ে-মুচড়ে ফেল নগ্নপায়ে
রক্তমাংসের এ শরীর
ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠে
পরাজিত হৃদয় থেকে
ফিনকি দিয়ে বেড়িয়ে আসতে চায়।

সংকল্পহীন হৃদয় আজ শক্তিহীন
ভূম্যবলুন্ঠিত হয়ে তাই
সোপর্দ করে তাদের কাছে;
পরিত্যাজ্য অতীতে পরিত্যক্ত আমি,
অবিশ্রান্ত উপস্থিতি ভবিষ্যতের
অস্তিত্বের জন্য হাহাকার করছে।

মিথ্যে অলঙ্করণগুলো দৃশ্যমান
দিবাগত রাতে তাই আর
ঘুম ভাঙ্গেনা আমার;
নড়বড়ে হয়ে যাওয়া নিজ সত্ত্বাকে
আঁকড়ে ধরতে চাইনা,
বলতে চাইনা-
"সবকিছু ঠিক আছে"।
--------------------------
প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৮।