Monday, September 14, 2009

নতুন আবিষ্কারঃ ঘরে বসেই জানা যাবে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে ?

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিত হতে আর পরীক্ষাগারে যেতে হবেনা। ঘরে বসে ছোট্ট একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ কী। তাও আবার গর্ভধারণের মাত্র ১০ সপ্তাহের মধ্যেই। সম্প্রতি একটি মার্কিন ঔষধ কোম্পানি এ সংক্রান্ত ঔষধ/কিট উদ্ভাবন করেছে। সিএনএন অনলাইনের খবরে প্রকাশ।

অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নিয়ে বাবা-মা তো বটেই, প্রতিবেশীদেরও কৌতুহলের অন্ত থাকেনা। ভূমিষ্ঠ হবার আগেই সবাই জানতে চান- গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সফল পদ্ধতি হচ্ছে আল্টাসনোগ্রাম পরীক্ষা। কিন্তু এই পরীক্ষার জন্য গর্ভবতীকে পরীক্ষাগারে যেতে হয় এবং গর্ভ ধারণের দিন থেকে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পরীক্ষাটি ভালো এবং এর ওপর মানুষের আস্থাও অনেক বেশি। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার জন্য আর ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবেনা। ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ঘরে বসে ছোট্ট একটি পরীক্ষা করে তা জানা যাবে। পদ্ধতিটাও কঠিন নয়। কাগজের টুকরো জাতীয় একটি বস্তুর মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের নিজেরাই পরীক্ষাটি করে নিতে পারবেন। সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের এই কিট উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্ডার নামে একটি কোম্পানি। কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেছেন, গর্ভ ধারণের ১০ সপ্তাহ পর গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করে তাতে উদ্ভাবিত কিটটি ডুবাতে হবে। ১০ মিনিটের মধ্যে সেটির রঙ যদি সবুজ হয় তাহলে ধরে নিতে হবে যে গর্ভের সন্তানটি ছেলে আর রঙ যদি কমলা হয়ে যায় তাহলে সন্তানটি মেয়ে।

ইন্টেলিজেন্ডারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেবেকা গ্রিফিন বলেন, ‘এটি কোনো পরীক্ষাগারের পরীক্ষা নয়। তাই এ পরীক্ষা সবসময় শতভাগ সঠিক হবে তা মনে করা যাবেনা।‘ কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , তাদের পরীক্ষা ৭৮ থেকে ৮০ শতাংশ সঠিক। অনেকেই মনে করছেন, এই পরীক্ষার ফলে ভ্রূণ হত্যা বেড়ে যাবে। কারণ যেসব মা-বাবা ছেলে সন্তান চান, তারা যখন জানবেন অনাগত সন্তানটি ছেলে নয়, তখন তারা ভ্রূণটি হত্যা করার চেষ্টা করবেন। সাধারণত চীন এবং ভারতে ছেলে সন্তানের আগ্রহ অনেক বেশি। এ কারণে দেশ দুটিতে ভ্রূণ হত্যার মাত্রাও বেশি। ইন্টেলিজেন্ডার বলেছে, সে কারণেই তারা ভারত এবং চীনে তাদের উদ্ভাবিত কিট বিক্রি করবেনা।

------------------------------------------

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট