আমার ঘরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপারটা মনেহয় ঘরের একমাত্র জানালাটি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সম্ভবত আকাশ। সাথে আরো গাছ-গাছালি, লতাপাতা, পেছনের উঠোনের ফুল ইত্যাদি ইত্যাদি। কয়েক ঘন্টা আগেও বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে। আকাশের অবস্থা দেখে কিছুটা বিরক্তই লাগছিল। এখানে আবার বৃষ্টি হলেই ঠান্ডা পরে তাই বিরক্তিটা একদম মাথায় রক্ত চড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থেমে আকাশ একদম পরিষ্কার হয়ে গেল। সাদা তুলোর মতন মেঘের দিকে তাকিয়ে বেশ ভাল লাগছিল। সন্ধ্যে হবার ঠিক আগে মনে হচ্ছিল যেন সাদা ক্যানভাসের মধ্যে কেউ হালকা লাল রঙ চড়িয়ে দিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে এখানে সেখানে।
অলস দিন কাটাচ্ছি আজকে। কত কিছু করার আছে কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছিনা। গতকাল আমার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। ওকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। হয়তোবা কষ্টই পেয়েছে সে; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জানানো উচিত ছিল। নিজের উপর বিরক্ত লাগছে ব্যাপারটা চিন্তা করলে। গতকাল ওকে শুভেচ্ছা জানালেই পারতাম। এমন নয় যে ভুলেই গিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও মনে ছিল। যদিও সারাদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম কাজে তবুও শত ব্যস্ততার এক ফাঁকে হয়তো শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম।মাঝেমধ্যে এমনসব আজব কাজ করে বসি পরে নিজেই বুঝতে পারিনা কেন করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই। তবে শুভেচ্ছা জানাই আর নাইবা জানাই ওর জন্য সবসময় শুভকামনা তো অবশ্যই কামনা করি। যা কখনো পরিবর্তন হবার নয়।
আবহাওয়ার কথা বলছিলাম। শীতকালটা আমার কখনোই তেমন ভাল লাগেনা। আমি আবার কিছুটা শীতকাতুরে মানুষ। ঠান্ডা সহ্য করতে পারিনা। সামান্য শীতেও অনেক ঠান্ডা লাগে। বিস্তর জামাকাপড় পরে বাইরে বের হতে হয়। নানান ঝামেলা। শীতকাল ছাড়া বর্ষাকালেও আমার ঘোর আপত্তি। দিনভর বৃষ্টির অত্যাচার দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাই। বাকি ঋতুগুলো নিয়ে আমার সমস্যা নাই। বাকি সব ঋতুই আমার পছন্দের।
3 comments:
ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করাটা আমার শোভা পায় না! তারপরও সাহস সন্চয় করে করছি, আপনার বিশেষ বন্ধুটিকে কি ইচ্ছা করেই শুভেচ্ছা জানাননি? এটার পেছনে নিশ্চয় কোন কারণ আছে! মানুষের সাথে মানুষের যে মিথস্ক্রীয়া, তার কোন একটা পর্যায়ে এ ধরনের ঘটনা কি ঘটতে পারে? ইনফ্যাক্ট আমি আপনার পার্সপেক্টিভ জানতে চাচ্ছি!
মনেহয় আপনি সামান্য ভুল বুঝেছেন। সে আমার কোনও বিশেষ বন্ধু না, শুধুই বন্ধু। আর, ইচ্ছে করেই বলিনি। রাগ অথবা অভিমান এমন কিছু নয়। আসলে ও আমাকে একদিন বলেছিল যে জন্মদিন নাকি ওর কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুনা। পরে আবার জন্মদিনের দিন ঠিকই মন খারাপ করে বসে ছিল। বলছিল যে আমার বন্ধুদের কেউই আমাকে শুভেচ্ছা জানায়নি এবার।
হুমম... কেউই জানায়নি! এটা একটা পয়েন্ট!
জন্মদিনটা তেমন গুরুত্বপূর্ন কিছু মনে না হওয়া সত্ত্বেও শুভেচ্ছা না জানানোর কারণে মন খারাপ করেছে এ বিষয়টাই আমার কাছে কেমন জানি মনে হচ্ছে।
যাই হোক আপনার ও আপনার বন্ধুর জন্য সব সময়ই শুভকামনা রইল, যেমন আপনার শুভকামনা রয়েছে তার প্রতি... সব সময়!
হ্যাপি ব্লগিং!
Post a Comment