Saturday, April 25, 2009

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয় নারীদের ভূমিকা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয় নারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করে। সেসময়ে নারীদের সাপ্তাহিক বেতন পুরুষদের চেয়ে অনেক কম ছিল; এটাকে নারীকর্মীদের সংখ্যা বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমে যাবার একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসময়ে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয় নারীরা গৃহকর্ত্রী হিসেবেই কর্মরত ছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে সংগ্রহকৃত পাঁচ লক্ষেরও বেশি তরুণদের বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। এসব খালি পদ যেখানে নারীকর্মীদের দিয়ে পূরণ করা সম্ভব ছিল, সেটি না করে অস্ট্রেলিয় সরকার নির্বিকার দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর থেকে বাড়ির বাইরে কাজ করতে আগ্রহী নারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯১৪ সালে যেখানে মোট জাতীয় কর্মশক্তির মাত্র শতকরা ২৪ ভাগ ছিল নারী সেখানে ১৯১৮ সালে এসে কর্মশক্তিতে নারীদের ভূমিকে বেড়ে দাঁড়ায় শতকরা ৩৭ ভাগ। তবে সংখ্যায় আগের চেয়ে বেশি নারীরা অংশগ্রহণ করলেও তাদের বাঁধা কিছু কাজের গণ্ডি থেকে কিন্তু তারা বেড়িয়ে আসতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে মেয়েরা শুধুমাত্র পোষাকশিল্প, পাদুকাশিল্প, খাবার এবং মুদ্রণশিল্পের সাথেই কর্মরত ছিল। কর্মীদের ইউনিয়নগুলো এসময় নারীদের কে আরো বিপুল পরিমাণে এবং অন্যান্য শিল্পে যোগদান করতে বাঁধা প্রদান করছিল। তাদের ভয় ছিল যে আরো অধিক পরিমাণে নারীরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগদান করলে বেতনভাতা কমে যাবে তুলনামূলক হারে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক নারীরা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের কাছে। যেসব পদের জন্য তারা আবেদন জানিয়েছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- রাঁধুনি, স্ট্রেচার বহনকারী, গাড়ির চালক, অনুবাদক ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তৎকালীন অস্ট্রেলিয় সরকার নারীদের এসব আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেয়। তবে নারীদের বিভিন্ন সংগঠন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এসব সংগঠনের মধ্যে ছিল- অস্ট্রেলিয়ান ওমেন'স ন্যাশনাল লীগ, দ্যা অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস, দ্যা কান্ট্রি ওমেন'স এসোসিয়েশন, দ্যা ভলান্টারি এইড ডিটাচমেন্ট, দ্যা অস্ট্রেলিয়ায়ন ওমেন'স সার্ভিস কর্পোরেশন, এবং দ্যা ওমেন'স পিস আর্মি এবং ওমেন'স ক্রিশ্চিয়ান টেম্পেরেন্স ইউনিয়ন। কিছু কিছু নারীরা এসময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করা, অস্ট্রেলিয়ান আর্মিতে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সতর্ক করা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের কাজ করতো।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

-------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Monday, April 20, 2009

নামহীন হাবিজাবি- ৪

আমার ঘরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপারটা মনেহয় ঘরের একমাত্র জানালাটি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সম্ভবত আকাশ। সাথে আরো গাছ-গাছালি, লতাপাতা, পেছনের উঠোনের ফুল ইত্যাদি ইত্যাদি। কয়েক ঘন্টা আগেও বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে। আকাশের অবস্থা দেখে কিছুটা বিরক্তই লাগছিল। এখানে আবার বৃষ্টি হলেই ঠান্ডা পরে তাই বিরক্তিটা একদম মাথায় রক্ত চড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থেমে আকাশ একদম পরিষ্কার হয়ে গেল। সাদা তুলোর মতন মেঘের দিকে তাকিয়ে বেশ ভাল লাগছিল। সন্ধ্যে হবার ঠিক আগে মনে হচ্ছিল যেন সাদা ক্যানভাসের মধ্যে কেউ হালকা লাল রঙ চড়িয়ে দিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে এখানে সেখানে।

অলস দিন কাটাচ্ছি আজকে। কত কিছু করার আছে কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছিনা। গতকাল আমার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। ওকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। হয়তোবা কষ্টই পেয়েছে সে; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জানানো উচিত ছিল। নিজের উপর বিরক্ত লাগছে ব্যাপারটা চিন্তা করলে। গতকাল ওকে শুভেচ্ছা জানালেই পারতাম। এমন নয় যে ভুলেই গিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও মনে ছিল। যদিও সারাদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম কাজে তবুও শত ব্যস্ততার এক ফাঁকে হয়তো শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম।মাঝেমধ্যে এমনসব আজব কাজ করে বসি পরে নিজেই বুঝতে পারিনা কেন করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই। তবে শুভেচ্ছা জানাই আর নাইবা জানাই ওর জন্য সবসময় শুভকামনা তো অবশ্যই কামনা করি। যা কখনো পরিবর্তন হবার নয়।

আবহাওয়ার কথা বলছিলাম। শীতকালটা আমার কখনোই তেমন ভাল লাগেনা। আমি আবার কিছুটা শীতকাতুরে মানুষ। ঠান্ডা সহ্য করতে পারিনা। সামান্য শীতেও অনেক ঠান্ডা লাগে। বিস্তর জামাকাপড় পরে বাইরে বের হতে হয়। নানান ঝামেলা। শীতকাল ছাড়া বর্ষাকালেও আমার ঘোর আপত্তি। দিনভর বৃষ্টির অত্যাচার দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাই। বাকি ঋতুগুলো নিয়ে আমার সমস্যা নাই। বাকি সব ঋতুই আমার পছন্দের।