Saturday, November 21, 2009

জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি

সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছে যে তারা নতুন প্রযুক্তির এক ধরনের বার বার রিচার্জ করার উপযোগি ব্যাটারি আবিষ্কার করেছে যার নাম জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি। এধরনের ব্যাটারি প্রচলিত সময়ের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির থেকে তিনগুণ বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে এবং খরচ পড়বে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মাত্র অর্ধেক। রিভোল্ট নামের এই সুইস কোম্পানি প্রথমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কৃত্রিম শ্রবণযন্ত্রে ব্যবহার উপযোগি ছোট ছোট জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি বাজারজাত করবে এরপর তার ক্রমানুসারে মোবাইলফোন অথবা ক্যামেরায় ব্যবহার উপযোগি ব্যাটারি এবং এরপর গাড়িতে ব্যবহার উপযোগি আরো বড় ব্যাটারি বাজারজাত করতে শুরু করবে।

এ ধরনের ব্যাটারির ডিজাইন করেছে ‘সিনটেফ’ নামের একটি নরওয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। রিভোল্ট এই পর্যন্ত ২৪ মিলিয়ন ইউরোর সংস্থান করেছে এই প্রজেক্টের জন্য।গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারির কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে সেগুলো ঠিক করে ফেলা হয়। এখন বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন জিঙ্ক এয়ার ব্যাটারি গাড়িতে ব্যবহার করে যাতায়াত খরচ কমিয়ে আনা যাবে এবং যেসব বিদ্যুত চালিত গাড়ি এ ধরণের ব্যাটারি ব্যবহার করবে সেগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম হবে।

প্রচলিত ব্যাটারিগুলো সাধারণত এর মধ্যের সবগুলো রাসায়নিক উপদাদান ব্যবহার করে থাকে বিদ্যুত উৎপাদন করার জন্য কিন্তু জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারি প্রকৃতির অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য। ১৯৮০ সালের দিকে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারিকে সবচাইতে উন্নতমানের, কম খরচের ব্যাটারি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারিগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ নিরাপদ। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতন আগুনের প্রতি একদমই সক্রিয়তা দেখায় না।

[ছবিতে জিঙ্ক-এয়ার ব্যাটারির স্তরগুলো দেখা যাচ্ছে]

----------------------

প্রথম প্রকাশঃ আরটিএনএন ডট নেট, ২০০৯।