Monday, March 30, 2009

নাক ডাকা যখন সমস্যা !

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা কি আপনার বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে ? এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচ জোড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তঃত একজোড়া দম্পতি নাক ডাকার সমস্যার কারণে রাত্রে বেলায় আলাদাভাবে ঘুমায়; শুধুমাত্র শান্তিতে ঘুমিয়ে রাতটা কাটানোর জন্য।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এক জরিপ চালানো হয় ১০০০ জন বিবাহিত নারী এবং পুরুষের উপর। এর ফলাফলে দেখা যায় শোবার ঘরে স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পেছনে কতগুলো অতি পরিচিত কারণ রয়েছে-

>> ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা
>> বালিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি
>> ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করা অথবা কথা বলা
>> ঘুমের মধ্যে হাত অথবা পা এদিক সেদিক ছোড়াছুড়ি করা (জরিপে দেখা যায় দশ শতাংশ পুরুষ/নারীর ঘুমের মধ্যে ব্যথা পাবার অভিজ্ঞতা আছে সঙ্গী/সঙ্গিনীর ঘুমের মধ্যে হাত/পা ছোড়াছুড়ি করার কারণে)

জরিপে আরো দেখা যায় উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে শতকরা সাত জন পুরুষ/নারী বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে সঙ্গি/সঙ্গিনীর সাথে রাতে ঘুমানোর সমস্যার কারণে। নাক ডাকা থেকে সৃষ্ট শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক সমস্যাগুলোকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। সেগুলো হচ্ছে- ঘুমিয়ে ওঠার পরেও ক্লান্তিবোধ করা, বদমেজাজি স্বভাব, কম কথা বলার প্রবণতা এবং সঙ্গি/সঙ্গিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের অবনতি। আলাদাভাবে ঘুমানোর কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্বটা বেড়ে যায় এবং অন্যান্য পারিবারিক সম্পর্কের অবনতিও পরিলক্ষিত হয়।

যেসব কারণে আমরা নাক ডাকি-
১| জন্মগত কারণে- জন্মগতভাবে কারো কারো গলার ভেতরের অংশ অন্যদের চেয়ে কিছুটা সরু থাকতে পারে যা নাক ডাকার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়াও টনসিলের আকার বড় থাকা এবং অন্যান্য শারীরিক জন্মগত সমস্যার কারণে কেউ নাক ডাকতে পারে ঘুমের মধ্যে।
২| বয়স- বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের গলা সরু হতে শুরু করে। মাঝ বয়েসে পৌঁছবার পর থেকেই অনেকের মধ্যে নাক ডাকার উপসর্গ দেখা দেয়।
৩| পুরুষ হবার কারণে- পুরুষদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বেশি দেখা যায় নারীদের তুলনায়। এর কারণ কি কারো জানা আছে ? কারণটা হচ্ছে পুরুষদের গলার প্রস্থ মেয়েদের তুলনায় কম থাকে যার কারণে নাক ডাকার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
৪| এলার্জি, এজমা, ঠান্ডা লাগা, সাইনাসের সমস্যা- ঠান্ডা লাগা অথবা অন্যান্য কারণে নাক বন্ধ থাকার অভিজ্ঞতার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। যখন নাক বন্ধ থাকে তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের যে সমস্যা হয় সেটার ব্যাপারেও নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই ঠান্ডা লাগলে অথবা উপরোক্ত কারণে কাউকে কাউকে নাক ডাকতে দেখা যেতে পারে ঘুমের মধ্যে।

নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়-
# শরীরের ওজন কমানো অনেক সময় নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে। যাদের ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস রয়েছে অল্প থেকে মাঝামাঝি পর্যায়ের এবং যদি তাদের শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে থাকে তবে ডাক্তারেরা সর্বপ্রথম এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেন। শারীরিক ওজন বাড়ার সাথে সাথে আমাদের গলার পেছনের দিকের অংশে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে শুরু করে এবং এতে গলার ভেতরের প্রস্থ কমে যায়। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো সম্ভব হলে এসব অতিরিক্ত চর্বি থেকে রেহাই পাওযা যাবে এবং সেই সাথে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাও বন্ধ হবে।
# মদ্যপান, কতিপয় ঔষধপত্র এবং কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলা গেলে নাক ডাকা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এলকোহল এবং কিছু কিছু ঔষধ আমাদের গলার এবং জিহ্বার মাংসপেশীগুলোকে শিথিল করে দেয় যার কারণে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একই ভাবে ঘুমের বড়ি অথবা ট্র্যাঙ্কুলাইজার গোত্রের ঔষধগুলো ঘুমের জন্য সহায়ক হলেও এগুলো ব্যবহারের কারণেও নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এসব এড়িয়ে চলাই ভাল। উচ্চ চর্বিযুক্ত দুধের তৈরি খাবার অথবা সয়া দুধে তৈরি খাবার গলার ভেতরে মিউকাস তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে যার কারণে এসব খাদ্যদ্রব্যও নাক ডাকার পেছনে ভূমিকা রাকতেই পারে।
# ধূমপানের কারণে সৃষ্ট নানান প্রকারের জটিলতার সাথে আমাদের মোটামুটি পরিচিতি আছে। প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মাংসপেশীগুলো ঢিলে হয়ে পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি করে। যা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণ হিসেবেও কাজ করে। তাই ধূমপান বন্ধ করা হতে পারে নাক ডাকা থেকে রেহাই পাবার একটি বড় উদ্যোগ।
# চিত হয়ে না ঘুমিয়ে পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। জরিপে দেখা গেছে যে যাদের চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে তাদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা অনেক কম। তাই ডাক্তারেরা বলে থাকেন পুরোপুরি নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে পাশ ফিরে শোবার অভ্যাস করুন।
# উপরোক্ত প্রতিকার গুলো চেষ্টা করার পরেও কারো কারো ক্ষেত্রে নাক ডাকার সমস্যা সমাধান নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

Sunday, March 15, 2009

অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের ইতিহাস

অনেকেই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কথা শুনে থাকবেন। পাথরযুগীয় সভ্যতার জন্য পৃথিবীজোড়া যাদের পরিচিতি আছে। নৃতত্ববিদ্যায় অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা তাই একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই আদিবাসীরা নিজেদেরকে “কুরি” বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। এরা স্বাস্থ্যবান এবং বাদামী-কালো চামড়ার অধিকারী। গড় উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির মতন (এক দশমিক ছয় আট মিটার) হয়ে থাকে। এদের চোখের রঙ সাধারণত গাঢ় বাদামি, চুলের রঙও তাই; তবে অনেকের চুলের রঙ লালচে অথবা সাদাটে-লালচে হতেও পারে। এদের ভ্রুজোড়া মোটা, চোয়াল বড় আর চুলগুলো কোকড়া হয়ে থাকে।

নৃবিজ্ঞানীদের মতে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের জাতিগতভাবে আলাদা করা বেশ দুষ্কর। কিছু নৃবিজ্ঞানীরা এদেরকে ‘অস্ট্রালয়েড জাতি’ বলে থাকেন। এদের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের সাথে এশিয়ান এবং পলিনেশিয়ানদের মিল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় যে পঞ্চাশ হাজার বছর আগে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসে এসব আদিবাসীরা বসতি স্থাপন করে।

ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা শিকারী। তাদের প্রয়োজনীয় খাবার তারা শিকারের মাধ্যমে সংগ্রহ করতো নতুবা অন্য কোনও উৎস থেকে আহরণ করতো। চাষাবাদে এদের কোনই অভিজ্ঞতা ছিলনা। পশু শিকারের কাজে এরা নানারকম অস্ত্র ব্যবহার করত যাদের মধ্যে বর্শা এবং বুমেরাং-এর নাম উল্লেখযোগ্য। গৃহপালিত পশু হিসেবে এদেরকে শুধুমাত্র ‘ডিংগো’ পালন করতে দেখা যায়। ‘ডিংগো’ হচ্ছে বিশেষ প্রজাতির কুকুর যা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের মধ্যে প্রায় পাঁচশত বিভিন্ন উপজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের প্রত্যেকের ভাষায় ভিন্নতা আছে। এসব আদিবাসীরা শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের অলংকার পরিধান করে থাকত। তবে এসব অলংকার তৈরিতে তারা কোন ধরনের ধাতু ব্যবহার করতো সেই উত্তর আজো মেলেনি নৃবিজ্ঞানীদের কাছে। কিছু কিছু উপজাতি শীত নিবারনের জন্য ক্যাঙ্গারুর চামড়া ব্যবহার করত। অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের বিবাহপ্রথা, সামাজিকপ্রথা, ধর্মানুভূতি এবং ধর্মীয় আচার-আচরণ -এগুলো বেশ উন্নতমানের ছিল।

১৭৮৮ সালে ইউরোপিয়ানরা এসে অস্ট্রেলিয়ায় বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। সে সময় থেকে শুরু করে ১৯০০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের সংখ্যা ৫০০,০০০ থেকে আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়ে মাত্র ৫০,০০০ -এ এসে দাঁড়ায়। যার পেছনে প্রধানভাবে দায়ী করা হয় ইউরোপ থেকে নিয়ে আসা নানান অসুখ-বিসুখকে। এসব অসুখ প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থাই আদিবাসীদের কাছে ছিলনা। এছাড়াও ইউরোপিয়ানরা অনেক আদিবাসীদের হত্যা করে যেটিকে এদের সংখ্যা কমে যাবার আরেকটি কারণ হিসেবে দায়ী করা যায়। এখনো অনেক আদিবাসী তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ আদিবাসীরাই শহুরে এলাকায় এসে বসত গড়েছে, অথবা কৃষিকাজে মনোযোগী হয়েছে।

অনেক বছর ধরে অস্ট্রেলিয় সরকার আদিবাসীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৯৩০ সালে আদিবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে সকল পর্যায়ে তাদের সমঅধিকারের দাবিতে। প্রায় দশ বছর পর আদিবাসীরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সমঅধিকার অর্জন করতে সমর্থ হয়। ১৯৬৭ সালে আদিবাসীরা তাদের ভোটাধিকার অর্জন করে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কোনও নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার ছিলনা। অস্ট্রেলিয়ার অনেক এলাকায় ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে আজো আদিবাসীরা সরকারের কাছে তাদের পৈত্রিক জায়গাজমি ফিরিয়ে দেবার আবেদন করে আসছে। কিছু কিছু জায়গাজমি তাদেরকে ফেরত দেওয়া হলেও অধিকাংশ জমিই সরকারের দখলে রয়ে গেছে। যেগুলোর মালিক চার লক্ষ দশ হাজারের মতন অস্ট্রেলিয় আদিবাসীরা।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

---------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Friday, March 6, 2009

৫০০০ বছর আগের ওৎজি যোদ্ধা

পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি পুরানো এক ওৎজি যোদ্ধার ছবি দেখাবো আজ আপনাদের। সম্প্রতি এই যোদ্ধার ছবি প্রথমবারের মতন অন্তর্জালে প্রকাশ করা হয়। ৫৩০০ বছর ধরে এই অতি প্রাচীন যোদ্ধা আলপাইন পর্বতের হিমবাহে আটকা পড়েছিল। পাথর যুগের এই যোদ্ধাকে ১৯৯১ সালে ইটালিয় এক পর্বতারোহীদল আবিষ্কার করে ওৎজ উপত্যকা থেকে যা ইটালি এবং অস্ট্রিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত। এতদিন পর্যন্ত এই প্রাচীন যোদ্ধার দেখার একমাত্র উপায় ছিল ইটালির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত টাইরল জাদুঘরে গিয়ে দেখে আসা। অন্তর্জালে প্রকাশ করার পর অনেকেই দূর থেকে দেখার সাধ মেটাতে পারবেন।









৫৩০০ বছরের পুরোনো ওৎজি যোদ্ধা









আবিষ্কৃত হয় ১৯৯১ সালে









ওৎজি যোদ্ধার পা, ধারণা করা হয় তার উপর অতর্কিতে আক্রমণের ফলে মৃত্যু ঘটে









যোদ্ধার মাথার পেছনে তীর লেগে মৃত্যু হয় , ছবিতে মাথার পেছনের অংশ দেখা যাচ্ছে









মাথার পার্শ্বচিত্র, যেখানে দেখতে পারবেন যোদ্ধার কান এখনো অনেক ভাল অবস্থায় আছে









পেলভিস এবং হাড় দেখে মনে হচ্ছে কাঠের তৈরি যেন









ওৎজি যোদ্ধার বাম হাত দেখতে পাচ্ছেন


ছবি এবং তথ্যসূত্রঃ নাইনএমেসেন ডট কম ডট এইউ

-------------------------------

প্রথম প্রকাশঃ সচলায়তন, ২০০৯।

Sunday, March 1, 2009

দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর খাবার

সারাদিন কাজ আর কাজ, উদয়াস্ত খাটুনি, হাতে সময় নেই, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অগ্রাধিকার পায় না। কোনও কোন দিন অনেক বেলা ভরপেট খাওয়া হয় না, চটজলদি হালকা নাস্তা হয়। তবে নাস্তাটি স্বাভাবিক হলেই হলো। দু’বেলা আহারের মধ্যে যদি ক্ষুধা লাগে, তাহলে শরীরে পুষ্টি চাই, বোঝা গেলো। তাই ক্ষুধা মেটাতে কিছু একটা মুখে দিতে হয়। উল্টোপাল্টা নাস্তা খেলে কিন্তু সমস্যা। নাস্তায় যদি বেশি চর্বি ও শর্করা থাকে তাহলে রক্তে পরবর্তীতে কোলেস্টেরল বাড়ে, ওজন বাড়ে শরীরে, পরবর্তীতে হতে পারে নানা জটিলতা যেমন হৃদরোগ, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া রক্তে এবং ডায়েবেটিস। সুসংবাদ হলো এই যে আজকাল স্বাস্থ্যকর খাবার সম্বন্ধে সচেতন হচ্ছে মানুষ সেজন্য অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লোফ্যাট লোশর্করা খাবার তৈরি করছে যা স্বাদে কোনও ভিন্নতা নেই প্রকৃত খাবারের সাথে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকা যখন প্রস্তুত করবেন তখন কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

খাবেন প্রচুর ফল ও শাক-সব্জি…
এতে ক্যালেরি ও চর্বি কমে। এছাড়া এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট।
সম্পৃক্ত চর্বির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ যত কম সম্ভব, সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এরকম চর্বি বেশি খেলে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরোল। তেলে ঘিয়ে ভাজা খাবার, প্রাণীজ চর্বিতে রয়েছে সম্পৃক্ত চর্বি। সে বিবেচনায় কচি মোরগ, মাছ এগুলো লাল গোস্ত(যেমন-গরু/ছাগলের মাংস) থেকে অনেক ভাল।

যে খাদ্য রান্না হচ্ছে সেদিকেও নজর রাখুন…
আংশিক হাইড্রোজিনেটেড উদ্ভিজ তৈল, যা মার্জারিন ও শর্টেনিং-এ ব্যবহৃত হয়, এতে এক ধরনের চর্বি থাকে একে বলে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড। এগুলো খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ এতে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরল। ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কুকিস, চিপস ও ক্যান্ডিতেও এসব চর্বি পাওয়া যায়।
খাবারে যেসব তরল সস্ ছড়ানো হয়, সেগুলো কেমন হবে…
স্যালাড ড্রেসিং সস বা যেসব তরলে খাবার ডুবিয়ে খাওয়া হয়, সেগুলোতে যেন চর্বি থাকে খুব কম। সেই সস খাবারের উপর না ঢেলে পাশে রাখা ভালো। এতেও এসব কম খাওয়া হবে। দুদ্ধজাত প্রিয় খাদ্যের মধ্যে যেগুলোতে চর্বি কম সেগুলো খাওয়া ভাল। এতে চর্বি কম খাওয়া হবে। যেমন ফুলক্রিম দুধ বা দইয়ের বদলে লোফ্যাট দই বা ক্রিম ছাড়া দুধ ভাল।

শ্বেতসার হলো শক্তির গুরুত্বপূর্ণ এবং দ্রুত উৎস…

এগুলো শরীরে শর্করায় পরিণত হয়, তাই বেশি বেশি শ্বেতসার খেলে দেহে ওজন বাড়ে এবং রক্তে বাড়ে শর্করা, বিশেষ করে ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই। এছাড়া আগের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে খুব বেশি শ্বেতসার খেলে হিতকরী কোলেস্টেরল এইচডিএল রক্তে হ্রাস পায়। গোটা শস্য যেমন গমের রুটি, জইচূর্ণ -এতে ময়দা কম, আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ কম। বাদাম, বীজ এসবও ভালো নাস্তা তবে এতে যেন লবন যেন না থাকে। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। বাদাম, আখরোট এতে রয়েছে ওমেগা-৩ উপাদান, যা ক্ষতিকর এলডিএল কমাতে পারে আবার হিতকরী এইচডিএল বাড়াতে পারে। লাউয়ের বীচি এবং সূর্যমুখীর বীজ এগুলোতে আছে ভিটামিন ই, বি ভিটামিন ও খনিজ। নিবন্ধটি পড়ে মনে হবে যে খাবারে এত বিকল্প আছে, তত বৈচিত্র্য রয়েছে খাবারের মধ্যে এগুলো চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কি? কেন খাবো ফাস্টফুড, তেলেভাজা খাবার ? নোংরা ইটালিয়ান রেস্তোরাঁর পাশে নর্দমার উপর বসে কেন এসব ঝালমুড়ি, ফুচকা, তেলেভাজা মোগলাই খাওয়া? কেবলমাত্র হৃদপিন্ডের মতন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কেন, দেহের পুরোটাই সুস্থ রাখা তো উচিত।