Friday, June 27, 2008

নামহীন হাবিজাবি- ২

আহ্, কি যে ভাল লাগছে। আজকে যে আমাদের সেমেস্টার ফাইনাল শেষ হয়ে গেল। বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছি বলতে পারেন। সত্যি কথা বলতে আমার মনেহয় যেন ভাল থাকাটা আসলেই আপেক্ষিক একটা ব্যাপার। বোঝার চেষ্টা করছি আসলেই কতোটা ভাল আছি এখন? মাথাটা প্রচণ্ড ধরেছে, কালকে সারারাত না ঘুমিয়ে কাটানোর জের চলছে এখনো। শেষ কবে যে নির্ভার একটা রাত কাটাতে পেরেছি নিজেই জানিনা। মাঝে মাঝে খুব তাই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সময়টায়।সাথে 'ফ্লু' ব্যাটার অত্যাচারটাও সহ্য করে আছি।ধরেছে সেই কবে এখনো যাবার নাম নেই।আমার এদিকে একশোবার নাক মুছতে মুছতে অবস্থা কাহিল।

আমার খুব প্রিয় একটা গান বাজছে ল্যাপিতে। শুনেছেন কিনা আপনারা বলতে পারবোনা। শুভমিতার গাওয়া একটা গান, নাম- “উড়ে যা না”। অসাধারণ সুন্দর একটা গান। বহুদিন এমন চমৎকার সুর আর কথার গান শোনা হয়নি।কথাগুলো কেমন যেন উদাস করা! সময় পেলে শুনে দেখতে পারেন। নিঃসন্দেহে আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে তা বলে দিতে পারি।

পাঠক-পাঠিকাদের কি জানতে ইচ্ছা করছে আমার পরীক্ষা কেমন হল আজকে? সত্যি করে বলতে গেলে বলতে হয়- আমি নিজেই জানিনা কেমন দিলাম! আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি বেশিরভাগ সময় এমন উত্তর দিয়ে থাকি। পরীক্ষা হল থেকে বের হলে আমি আসলে বলতে পারিনা কোন প্রশ্নের উত্তর কি লিখে দিয়ে আসলাম। কিংবা বলতে পারেন হয়তো মনে করতেই চাইনা। আমার সহপাঠীদের দেখি ওরা পরীক্ষা হল থেকে বের হয়ে একে অন্যকে জিজ্ঞেস করে কেমন হল পরীক্ষা, কে কোন প্রশ্নের জন্য কি উত্তর লিখেছে এইসব আরকি। আমাকে জিজ্ঞেস করলে ওরা সবসময় একই উত্তর পায় তাই আজকাল জিজ্ঞেস করেনা। ওরা যখন এসব বিষয়ে আলোচনা করে আমি তখন ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকি ওদের দিকে, প্রশ্ন করলে সেই একঘেঁয়ে উত্তর।

তবে বেশি নিরাশ হবার কিছু নাই, আমি অবশ্য এতটুকু বলতে পারি যে শতকরা কতভাগ প্রশ্নপত্রের উত্তর দিয়ে এসেছি।হিসেব করে দেখলাম শতকরা ৯৫ ভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এসেছি আজকে।এখন আমার খুব খুব প্রিয় একজনের কথা মনে হচ্ছে, এই কথা শুনলে যে এখন গম্ভীর গলায় আমাকে বলতঃ “বাকি প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে দিয়ে আসলি কেন? ওগুলার উত্তর করে আসা উচিত ছিল, তোর সাথে কথা বন্ধ।“ সত্যি কথা বলতে কি ঐ বাকি ৫ ভাগে উত্তরও আমার জানা ছিল। কেন যে লিখলাম না নিজেই জানিনা, হঠাৎ করে তোর ঝাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। কলমটা যেন আর চলতেই চাইলোনা।

Thursday, June 19, 2008

নামহীন হাবিজাবি- ১

কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল, তাই এখানে চলে আসলাম।এখানে হাবিজাবি কিছু লিখে আমার হাতের তালুর চুলকানি কমানোই মূল উদ্দেশ্য।ইদানিং বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ছি, নিজের জন্য সময় বের করতেই হিমশিম খেতে হয়।দেখতে দেখতে আমার শিক্ষাজীবনের আরেকটি সেমেস্টার চলে যাচ্ছে।এখনো মনে হচ্ছে এইতো সেদিন না সেমেস্টার শুরু করলাম।আমাদের সেমেস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে এখন।সত্যি কথা বলতে কি প্রত্যেক সেমেস্টার শেষ হলে যখন আমাদের ফাইনালের জন্য বসতে হয় তখনই আমার এই কথাটা বারবার মনে আসে।আর প্রতিবারই পণ করি পরের সেমেস্টারের গোড়া থেকেই ভাল করে পড়াশুনা শুরু করব।কিন্তু বলাই বাহুল্য সেটি কখনোই করা হয়ে ওঠেনা।এখনো আরো দুটো পরীক্ষা বাকি আছ।সামনের পরীক্ষা আইন বিষয়ক খটমটে একটা ইউনিট।এধরনের ইউনিট পড়ার বেশ ভাল একটি গুণ আছে, আপনাদের যদি ইনসোমনিয়া জাতীয় অসুখ থেকেও থাকে তাহলেও গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে কোনই সমস্যা হবেনা।আমার কথাই ধরুন, নিজেও জানিনা কতবার যে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেছি!!অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই যে কেমন ফাঁকিবাজ ছেলেরে বাবা!!অবাক হবার কিছুই নেই,কারণ আমি বরাবরই এমন ফাঁকিবাজ ধরনের ছাত্র ছিলাম,আছি এবং ভবিষ্যতেও যেন থাকতে পারি সেজন্য খাস দিলে আপনাদের কাছে থেকে দোয়া কামনা করছি।অবশ্যই দোয়া করতে ভুলবেন না কিন্তু!!আমার আম্মু বলেন আমি এই সু(নাকি কু)-অভ্যাস উত্তরাধিকার সূত্রে আব্বুর কাছে থেকে পেয়েছি।যার কাছে থেকেই পেয়ে থাকি আমি কিন্তু খুব খুশি।